কলকাতার পর বাঁকুড়ায় প্রথম শুরু প্লাজমা দানের কাজ

14th September 2020 5:27 pm বাঁকুড়া
কলকাতার পর বাঁকুড়ায় প্রথম শুরু প্লাজমা দানের কাজ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  শহর কলকাতার পাশাপাশি এবার জেলার প্রথমে বাঁকুড়াতেও শুরু হলো প্লাজমা দানের কাজ I করোনা ভ্যাকসিন বাজারে কবে আসবে সেই চিন্তায় মানবজাতি I তবে এই চিন্তার পাশাপাশি আশার আলো যুগিয়েছেন প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতি I কারণ জটিল করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি একটা পরীক্ষিত চিকিৎসা পদ্ধতি সেই পদ্ধতি আগেই কাজে লাগানো হয়েছে কলকাতায় I এবার জেলাতেও সেই চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হবে সেই উদ্দেশ্যে কলকাতার বাইরে এই প্রথম করণা জয়ীদের কাছ থেকে শুরু হল প্লাজমা সংগ্রহের কাজ I সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করণা আক্রান্তের সংখ্যা I বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও I এই পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় সর্বাধিক কার্যকরী প্লাজমা থেরাপির হাত ধরতে চাইছে স্বাস্থ্য দপ্তর I প্লাজমা থেরাপি হল সুস্থ হওয়া করণা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে করোনা কে জব্দ করার জন্য তৈরি হয় আন্টিবডি I সেই এন্টিবডি থাকে সুস্থ হয়ে ওঠা করণা আক্রান্ত রক্তের প্লাজমায় I সেই প্লাজমা সংগ্রহ করে জটিল করোনা রোগীর শরীরে প্রবেশ করাতে পারলে তার শরীরে করোনা কে জব্দ করার মত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে I চিকিৎসা বিজ্ঞানী র এই থেরাপি কে কাজে লাগিয়ে পৃথিবী জুড়ে চলছে সাফল্য I এরাজ্যে কলকাতাতে শুরু হয়েছে এই চিকিৎসা এবার সেই চিকিৎসা পদ্ধতিকেই জেলা স্তরের হাসপাতালগুলিতে কাজে লাগানো হবে , আর সেই উদ্দেশ্যেই আজ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের উদ্যোগে শুরু হলো প্লাজমা সংগ্রহের কাজ I আপাতত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে এই প্লাজমা সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও আগামী দিনে বিশেষ মোবাইল বাসের সাহায্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে করোনা জয়ী দের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ I প্লাজমা সংগ্রহ কর্মসূচী র প্রথম দিনেই ভালোমতো সাড়া মিলেছে , করণা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার নির্দিষ্ট সময় পর প্লাজমা দানের মাধ্যমে অন্য করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি প্লাজমা দানকারীরা I





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।